ব‍্যাপক বৃষ্টির জেরে গোঘাটের বিস্তৃত এলাকায় আলু চাষ ক্ষতির মুখে

30th January 2020 হুগলী
ব‍্যাপক বৃষ্টির জেরে গোঘাটের বিস্তৃত এলাকায় আলু চাষ ক্ষতির মুখে


চলছে বাগদেবীর আরাধনা।  দুদিনের এই পুজোতে ছোট থেকে বড় সবাই আনন্দে মেতেছে। কচি কাচাদের ভিড় মন্ডপে মন্ডপে। কিছুটা মন খারাপ করে দিচ্ছে মাঝে মধ্যে ঝির ঝিরে বৃষ্টিতে।আগে থেকেই আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে ছিলেন বৃষ্টি  হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে   ঘন কুয়াশা এবং বেশ কয়েক ঘন্টা দেখা মেলেনি সূর্যের।   হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায় হাল্কা থেকে ভারি বৃষ্টি হয়েছে। হুগলীর  গোঘাট এলাকার কালিপুর, সাতবেড়িয়া,অরাহাট,লোকরা, আনুর সহ বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে শিলাবৃষ্টি। প্রায় দু ঘন্টা ধরে চলে এই বৃষ্টি সঙ্গে ঝোড় হাওয়া। এই বৃষ্টির কারনে জল জমেছে বেশ কিছু রাস্তায় এবং চাষের জমিতে । এর ফলে আলু চাষের ক্ষতির আশঙ্কা করছে চাষীরা।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।